1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. বিনোদন
  6. তথ্যপ্রযুক্তি
  7. সারাদেশ
  8. ক্যাম্পাস
  9. গণমাধ্যম
  10. ভিডিও গ্যালারী
  11. ফটোগ্যালারী
  12. আমাদের পরিবার
ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গুমের মামলা এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ

নিউজ ডেস্ক
আপলোড সময় : ১৪-০৮-২০২৪ ০৭:৫১:৩২ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৪-০৮-২০২৪ ০৭:৫১:৩২ অপরাহ্ন
শেখ হাসিনাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গুমের মামলা এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ
২০১৫ সালে রাজধানীর উত্তরা থেকে ‘গুম করার’ অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদনটি সংশ্লিষ্ট থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালতে ভুক্তভোগী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সোহেল রানা নিজেই এই আবেদন করেছেন।

এ সময় আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক, র‌্যাবের সাবেক ডিজি বেনজীর আহমেদ এবং র‌্যাবের অজ্ঞাত ২৫ সদস্যকে আসামি করার আবেদন করা হয়েছে। বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. সোহেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, সোহেল রানা ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বন্ধু আশরাফুল ইসলাম রিংকুর সঙ্গে উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর রোডে স্মাইর গ্যালারির সামনে অবস্থান করছিলেন। রাত ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার দিকে একজন হাতে স্মার্ট ডিভাইসসহ এসে তাদের পরিচয় জানতে চান, তারা পরিচয় দেন। পরে তাদের দুজনকে জরুরি কথা আছে বলে একটি গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যায়। গাড়িতে র‌্যাবের পোশাক পরিহিত দুজনকে এবং আরও ১০ থেকে ১১ জন বন্দুকধারীকে দেখতে পান। গাড়িতে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তাদের চোখ বেঁধে ফেলা হয়। হাতে হ্যান্ডকাপ পরানো হয়। সোহেল রানাকে গাড়িতেই বৈদ্যুতিক শক দিতে থাকে। আর্তচিৎকার যেন বাইরে না যায়, এজন্য উচ্চ ভলিউমে ডিজে টাইপের গান চালিয়ে দেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর রিংকুকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। ঘণ্টাখানেক পর সোহেল রানা বুঝতে পারেন তাকে কোনো একটি বিল্ডিংয়ের আন্ডারগ্রাউন্ডে নিয়ে গেছে। এ সময় তারা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে গালিগালাজ করতে থাকেন। সেখানে গিয়েও তাকে শক দিতে থাকে। দুই ঘণ্টা পর তিন-চার জন এসে তাকে ঝুলিয়ে মারতে থাকে। এতে জ্ঞান হারান তিনি। জ্ঞান ফিরলে তাকে আবার নির্যাতন করা হয়। তার নির্দেশে নির্বাচন কমিশন ভবনে আগুন দেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চান। তাকে আবারও শক দেওয়া হয় এবং মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। এভাবে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। তাকে নামাজ পড়তেও বাধা দেওয়া হতো। পিঠমোরা দিয়ে হাতকরা অবস্থায় তাকে বেঁধে রাখা হতো। এজাহারে আরও বলা হয়, গত ৬ জুন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার দূরত্বে তাকেসহ কয়েকজনকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। ১৩ আগস্ট ভোর ৩-৪টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাকে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। তখনও তার হাত ও চোখ বাঁধা ছিল। পরে তিনি লোকজনের কাছে জানতে পারেন, তিনি রাজশাহীর গোদাগাড়িতে আছেন। বাদী মুক্ত হয়ে জানতে পারেন, শেখ হাসিনার হুকুমে অন্যান্য আসামি দেশে এক নায়কতন্ত্র ও স্বৈরাচার শাসন ব্যবস্থা কায়েমের জন্য দেশে গুমের নামে অপহরণ এবং বিনা বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে এবং তিনি নিজেই নিপীড়নের শিকার হয়েছেন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Daily Sonali Rajshahi

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ